প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণে মূলধন খরচ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে অর্থায়নের সঠিক উৎস বেছে নেয়া থেকে শুরু করে বিনিয়োগ সুযোগ বা প্রকল্পের মূল্যায়ন পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে মূলধন খরচ প্রয়োগ করা হয়। নিম্নে মূলধন খরচের তাৎপর্য আলোকপাত করা হলো।
প্রথমত : বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত-সংক্রান্ত। ধরা যাক, একটি প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংক থেকে ১৮% সুদের হারে ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে একটি কারখানা দেয়। কারখানাটি চালু করার পর দেখা গেল কারবারটি ১০% হারে আয় করতে পারছে, যা সোনালী ব্যাংকের কাছে দায়বদ্ধ ১৮% সুদের হার থেকে কম। ফলে প্রতিষ্ঠানটি সোনালী ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করতে পারবে না। এমতাবস্থায় কারবারটি ব্যর্থ হবে। সুতরাং তহবিলের খরচ জেনে তা অপেক্ষা বেশি আয় করা সম্ভব-এমন বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেয়া আবশ্যক। অতএব বলা যায়, সঠিক তহবিলের খরচ নির্ণয় সঠিক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচিত হয়।
দ্বিতীয়ত : মূলধন কাঠামো-সংক্রান্ত। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের একটি কাম্য ঋণনীতি থাকে। কাম্য ঋণনীতি বলতে প্রতিষ্ঠানের মোট মূলধনে কত অংশ ধার বা ঋণ থেকে সংগ্রহ করা হয় তাকে বুঝায়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মালিকদের ইক্যুইটি অংশকেই মোট মূলধন বলে। একটি প্রতিষ্ঠান তার মোট মূলধনের ৫০% নিজস্ব মূলধন বা ইক্যুইটি এবং ৫০% ঋণ অথবা ৬০% নিজস্ব মূলধন বা ইক্যুইটি এবং ৪০% ঋণ অথবা ৪০% নিজস্ব মূলধন এবং ৬০% ঋণ, এরূপ যেকোনো অনুপাতে সংগ্রহ করতে পারে। প্রতিষ্ঠানকে এরূপ প্রতিটি অনুপাতের মূলধন কাঠামোর খরচ নির্ণয় করতে হয় এবং যে বিকল্প অনুপাতে মূলধন খরচ সর্বনিম্ন হয়, সে মূলধন কাঠামো গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। অতএব কারবারে সঠিক মূলধন কাঠামো নির্বাচন করার ক্ষেত্রেও মূলধন ব্যয় তাৎপর্য বহন করে।
আরও দেখুন...